দূরে কোথাও আছি বসে
হাত দুটো দাও বাড়িয়ে,
বিরহ ছু’তে চায় মনের দুয়ার
দু’চোখ নির্বাক আসোনা ছুটে।
তুমি এলে রংধনু রঙ ডেলে দেয়
তুমি এলে মেঘেরা বৃষ্টি ছড়ায়
এই মনের আহলাদ আসোনা ছুটে।
অনুরাগে ঝরে চাঁদও আজ
এ লগনেও এলেনা,
অনুভব নিশ্চুপ আজ
কথা যে বলেনা।
ভাল যদি বাসো তুমি আমাকে
ছুটে চলে আসোনা।
নীল আচল নিরমল হাওয়া
এ লগনেও এলেনা,
অচেতন থাকে মন
নিষ্প্রান যত ভাবনা।
ভাল যদি বাসো তুমি আমাকে
ছুটে চলে আসোনা।
দূরে কোথাও আছি বসে
হাত দুটো দাও বাড়িয়ে,
বিরহ ছু’তে চায় মনের দুয়ার
দু’চোখ নির্বাক আসোনা ছুটে।
তুমি এলে রংধনু রঙ ডেলে দেয়
তুমি এলে মেঘেরা বৃষ্টি ছড়ায়
এই মনের আহলাদ আসোনা ছুটে।
Poem and Music (গান আর কবিতা )
Wednesday, 7 September 2016
Wednesday, 20 April 2016
Song: যে পাখি ঘর বোঝে না
যে পাখি ঘর বোঝে না
উড়ে বেড়ায় বন বাজারে
ভোলা মনে মিছে কেন
মনের খাঁচায় রাখিস তারে...!!
ও পাখি ছন্নছাড়া বাঁধন হারা
মানে না প্রেমের শিকল
ও পাখি দশ দুয়ারী
শত মন করে দখল
যে পাখি ঘর বোঝে না...
পাখিটার এমন স্বভাব নিজের অভাব
পূরন করে নিজের মত
পাখিটা হাঁসে খেলে অন্তরালে
সুনিপুণ করে ক্ষত
ও পাখি বাঁধন হারা ছন্নছাড়া
মানে না প্রেমের শিকল
ও পাখি দশ দুয়ারে
শত মন করে দখল
যে পাখি ঘর বোঝে না...
পাখিটার মতিধমে দমে দমে
পুরি কেবল সংখ্যা গুনে
পাখিটা চর ভেবে নেয় মন হাতিয়ে
বেথা দেয় বুঝে শুনে
ও পাখি বাঁধন হারা ছন্নছাড়া
মানে না প্রেমের শিকল
ও পাখি দশ দুয়ারে
শত মন করে দখল
যে পাখি ঘর বোঝে না...
Monday, 11 April 2016
Poem: বিধবা - আদিত্য অনীক
বিধবা
আদিত্য অনীক
আমি যখন ছোট্ট তখন বাবার বাড়ি ছিলাম,
ফুলের মত তুলতুলে তাই কুসুম আমার নাম ।
চাঁদের সাথে খেলা করি স্বপ্নে ভাসাই তরী,
আমি ছিলাম কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট সুন্দরী ।
ভাইয়ের আদর মায়ের স্নেহ বাবার জাতিকুল,
এসব মাথায় করে হঠাৎ বিয়ের ফুটলো ফুল ।
বুকে টেনে বললো বাবা দু’চোখ ছলোছলো,
এখন থেকে শ্বশুরবাড়ি তোমার বাড়ি হলো ।
নারী জাতির বাপের বাড়ি চিরকালই পর,
শ্বশুরবাড়ি আসল বাড়ি ওটাই নিজের ঘর ।
শ্বশুরবাড়ি এসে দেখি অন্য রকম খেলা,
কানের কাছে দিন-রজনী বাজে বুবু-জেলা ।
রুদ্ধদ্বারের শ্বশুরবাড়ি ভিতর মহল থাকি ,
ঘোমটা খুলে খিড়কি দিয়ে আসমানে চোখ রাখি।
শ্বশুর বলেন রেগে-মেগে “ আসমানে কী চাও ?
আমার বাড়ি থাকতে হলে মাথায় কাপড় দাও ।”
বিয়ের আগে বাপের বাড়ি ছিল আমার ঠাই,
বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ি নিজের বাড়ি নাই ।
শ্বশুর-বাবা মারা গেলেন স্বর্গে দিলেন পাড়ি,
হাত বদলে শ্বশুরালয় হলো স্বামীর বাড়ি ।
স্বামী আমার অধিপতি আমি ক্ষুদ্র প্রজা,
সকল ভালোর কৃতিত্বে তার উড়ে জয়ধ্বজা ।
দুঃখ-ব্যথা-অমঙ্গলে, ভ্রান্তি এবং ভয়ে,
আমার মাথা বলির পাঁঠা সকল বিপর্যয়ে ।
স্বামী ছিল অশ্বত্থ গাছ ডালে ডালে পাখি,
তারই ছায়ার নির্ভরতায় জীবন ধরে রাখি ।
স্বামী মারা যাবার পরে আমার দুটি ছেলে,
দেয়াল তুলে বাড়িটাকে দু’ভাগ করে ফেলে ।
এজমালিতে ছিল শুধু সিঁড়ির চিলেকোঠা ,
আমার থাকার জন্য নাকি দারুণ হবে ওটা ।
সকাল বিকেল ছাদে গেলে সূর্য যাবে দেখা,
অন্ধকারে দেখতে পাবো ছায়াপথের রেখা ।
এ সপ্তাহে বড় ছেলে ও সপ্তাহে ছোটো ,
তুলাদণ্ডে আমার খাবার ভাগ হয়ে যায় দু’টো ।
মা মরেছে বাপ মরেছে আছে মাথার ভাই,
মাঝেমাঝে ভাইয়ের বাড়ি নাইওর করতে যাই ।
কদিন যেতেই ভাইয়ের ঘরে বাড়তি হয়ে পড়ি,
ইচ্ছে করে পুকুর জলে কলসি বেঁধে মরি ।
শ্বশুরবাড়ি স্বামীর বাড়ি ছেলের বাড়ি আছে,
আমি যেন গাই-হনুমান লাফাই গাছে গাছে ।
বড় ছেলের কাস্টমে জব টাকা কাড়ি কাড়ি,
ছোট ছেলে গ্রামীণ ফোনে পদ-পদবী ভারী ।
ডেভেলপার এসে একদিন বাড়ি বুঝে নিলো,
তাদের হাতে বড় ছেলে চাবি তুলে দিলো ।
পুরাণ বাড়ি ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে তবে
চোখ ধাঁধানো পঁচিশ তলা উঁচু দালান হবে ।
দু’ছেলে দুই পোশ এলাকায় ভাড়ায় নিলো ফ্লাট,
এক লহমায় চুকিয়ে দিল একান্নতার পাট ।
মাল-সামানা তুলে নিলো ভাড়াটে বাড়িতে,
সমস্যাটা হলো তাদের আমায় তুলে নিতে ।
বড় বউয়ের ভাই-বোনেরা তাদের সাথে থাকে ,
গিঞ্জি বাসায় কেমন করে শাশুড়িকে রাখে ?
ছোট্ট ছেলের বাসা ভর্তি নানান ক্যালাব্যালা,
ছেলেমেয়ের সংখ্যা বেশি জিনিসপত্র ম্যালা ।
ওদের বাসা খুবই ছোট, খুব বেশি নেই ঠাই,
এতকিছু রাখার পর আর মায়ের জায়গা নাই ।
ছেলে দু’টি সুশিক্ষিত আদব-লেহাজ মাপা,
বউয়ের কথার বাইরে তারা কেউ ফেলে না পা ।
মাকে এখন রাখে কোথায় কঠিন ধারাপাতে,
নাদুস-নুদুস ছেলে দু’টোর ঘুম আসে না রাতে ।
অনেক বুদ্ধি খরচ করে খুঁজলো সমাধান,
অবশেষে বৃদ্ধাশ্রমে মিললো আমার স্থান ।
নিরিবিলি খোলামেলা উদার পরিবেশ,
ইবাদত আর বন্দেগীতে থাকবো নাকি বেশ ।
এখন আমি বিধবা মা মানুষ বলে রাড়ি,
মেয়েলোকের কবর ছাড়া হয় না নিজের বাড়ি ।
নিঃসঙ্গ দিন নিঃসঙ্গ রাত যাচ্ছে সময় কেটে,
পোড়া চোখের জলে ভিজি অতীত স্মৃতি ঘেঁটে ।
ঈদের খুশী রোজা খুশী জন্মদিনের সুখে,
ছোট্ট দুটি খোকার জামা ঝাপটে ধরি বুকে ।
গভীর রাতের নামায শেষে বলি মোনাজাতে,
আমার অবোধ ছেলে দু’টো থাকুক দুধে-ভাতে ।
আদিত্য অনীক
আমি যখন ছোট্ট তখন বাবার বাড়ি ছিলাম,
ফুলের মত তুলতুলে তাই কুসুম আমার নাম ।
চাঁদের সাথে খেলা করি স্বপ্নে ভাসাই তরী,
আমি ছিলাম কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট সুন্দরী ।
ভাইয়ের আদর মায়ের স্নেহ বাবার জাতিকুল,
এসব মাথায় করে হঠাৎ বিয়ের ফুটলো ফুল ।
বুকে টেনে বললো বাবা দু’চোখ ছলোছলো,
এখন থেকে শ্বশুরবাড়ি তোমার বাড়ি হলো ।
নারী জাতির বাপের বাড়ি চিরকালই পর,
শ্বশুরবাড়ি আসল বাড়ি ওটাই নিজের ঘর ।
শ্বশুরবাড়ি এসে দেখি অন্য রকম খেলা,
কানের কাছে দিন-রজনী বাজে বুবু-জেলা ।
রুদ্ধদ্বারের শ্বশুরবাড়ি ভিতর মহল থাকি ,
ঘোমটা খুলে খিড়কি দিয়ে আসমানে চোখ রাখি।
শ্বশুর বলেন রেগে-মেগে “ আসমানে কী চাও ?
আমার বাড়ি থাকতে হলে মাথায় কাপড় দাও ।”
বিয়ের আগে বাপের বাড়ি ছিল আমার ঠাই,
বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ি নিজের বাড়ি নাই ।
শ্বশুর-বাবা মারা গেলেন স্বর্গে দিলেন পাড়ি,
হাত বদলে শ্বশুরালয় হলো স্বামীর বাড়ি ।
স্বামী আমার অধিপতি আমি ক্ষুদ্র প্রজা,
সকল ভালোর কৃতিত্বে তার উড়ে জয়ধ্বজা ।
দুঃখ-ব্যথা-অমঙ্গলে, ভ্রান্তি এবং ভয়ে,
আমার মাথা বলির পাঁঠা সকল বিপর্যয়ে ।
স্বামী ছিল অশ্বত্থ গাছ ডালে ডালে পাখি,
তারই ছায়ার নির্ভরতায় জীবন ধরে রাখি ।
স্বামী মারা যাবার পরে আমার দুটি ছেলে,
দেয়াল তুলে বাড়িটাকে দু’ভাগ করে ফেলে ।
এজমালিতে ছিল শুধু সিঁড়ির চিলেকোঠা ,
আমার থাকার জন্য নাকি দারুণ হবে ওটা ।
সকাল বিকেল ছাদে গেলে সূর্য যাবে দেখা,
অন্ধকারে দেখতে পাবো ছায়াপথের রেখা ।
এ সপ্তাহে বড় ছেলে ও সপ্তাহে ছোটো ,
তুলাদণ্ডে আমার খাবার ভাগ হয়ে যায় দু’টো ।
মা মরেছে বাপ মরেছে আছে মাথার ভাই,
মাঝেমাঝে ভাইয়ের বাড়ি নাইওর করতে যাই ।
কদিন যেতেই ভাইয়ের ঘরে বাড়তি হয়ে পড়ি,
ইচ্ছে করে পুকুর জলে কলসি বেঁধে মরি ।
শ্বশুরবাড়ি স্বামীর বাড়ি ছেলের বাড়ি আছে,
আমি যেন গাই-হনুমান লাফাই গাছে গাছে ।
বড় ছেলের কাস্টমে জব টাকা কাড়ি কাড়ি,
ছোট ছেলে গ্রামীণ ফোনে পদ-পদবী ভারী ।
ডেভেলপার এসে একদিন বাড়ি বুঝে নিলো,
তাদের হাতে বড় ছেলে চাবি তুলে দিলো ।
পুরাণ বাড়ি ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে তবে
চোখ ধাঁধানো পঁচিশ তলা উঁচু দালান হবে ।
দু’ছেলে দুই পোশ এলাকায় ভাড়ায় নিলো ফ্লাট,
এক লহমায় চুকিয়ে দিল একান্নতার পাট ।
মাল-সামানা তুলে নিলো ভাড়াটে বাড়িতে,
সমস্যাটা হলো তাদের আমায় তুলে নিতে ।
বড় বউয়ের ভাই-বোনেরা তাদের সাথে থাকে ,
গিঞ্জি বাসায় কেমন করে শাশুড়িকে রাখে ?
ছোট্ট ছেলের বাসা ভর্তি নানান ক্যালাব্যালা,
ছেলেমেয়ের সংখ্যা বেশি জিনিসপত্র ম্যালা ।
ওদের বাসা খুবই ছোট, খুব বেশি নেই ঠাই,
এতকিছু রাখার পর আর মায়ের জায়গা নাই ।
ছেলে দু’টি সুশিক্ষিত আদব-লেহাজ মাপা,
বউয়ের কথার বাইরে তারা কেউ ফেলে না পা ।
মাকে এখন রাখে কোথায় কঠিন ধারাপাতে,
নাদুস-নুদুস ছেলে দু’টোর ঘুম আসে না রাতে ।
অনেক বুদ্ধি খরচ করে খুঁজলো সমাধান,
অবশেষে বৃদ্ধাশ্রমে মিললো আমার স্থান ।
নিরিবিলি খোলামেলা উদার পরিবেশ,
ইবাদত আর বন্দেগীতে থাকবো নাকি বেশ ।
এখন আমি বিধবা মা মানুষ বলে রাড়ি,
মেয়েলোকের কবর ছাড়া হয় না নিজের বাড়ি ।
নিঃসঙ্গ দিন নিঃসঙ্গ রাত যাচ্ছে সময় কেটে,
পোড়া চোখের জলে ভিজি অতীত স্মৃতি ঘেঁটে ।
ঈদের খুশী রোজা খুশী জন্মদিনের সুখে,
ছোট্ট দুটি খোকার জামা ঝাপটে ধরি বুকে ।
গভীর রাতের নামায শেষে বলি মোনাজাতে,
আমার অবোধ ছেলে দু’টো থাকুক দুধে-ভাতে ।
Friday, 23 October 2015
Song: বলতে চেয়ে মনে হয় বলতে তবু দেয় না হৃদয়
বলতে চেয়ে মনে হয়
বলতে তবু দেয় না হৃদয়
কতটা তোমায় ভালবাসি
চলতে গিয়ে মনে হয়
দূরত্ব কিছু নয়
তোমারই কাছে ফিরে আসি
তুমি তুমি তুমি শুধু এই মনের আনাচে কানাচে
সত্যি বলনা কেউ কি প্রেমহীনা
কখনো বাঁচে
মেঘের খামে আজ তোমার নামে
উড়ো চিঠি পাঠিয়ে দিলাম
পড়ে নিও তুমি মিলিয়ে নিও খুব
যতনে তা লিখেছিলাম
ও চায় পেতে আরো মন
পেয়েও এত কাছে
তুমি তুমি তুমি শুধু এ মনের আনাচে কানাচে
সত্যি বলনা কেউ কি প্রেমহীনা
কখনো বাঁচে
মন অল্পতে প্রিয় গল্পতে
কল্পনায় স্বপ্ন আঁকে
ভুল ত্রুটি আবেগী খুনসুটি
সারাক্ষণ তোমায় ছুঁয়ে রাখে
ও চায় পেতে আরো মন
পেয়েও এত কাছে
বলতে চেয়ে মনে হয়
বলতে তবু দেয়না হৃদয়
কতটা তোমায় ভালবাসি
চলতে গিয়ে মনে হয়
দূরত্ব কিছু নয়
তোমারই কাছে ফিরে আসি
তুমি তুমি তুমি শুধু এ মনের আনাচে কানাচে
সত্যি বলনা কেউ কি প্রেমহীনা
কখনো বাঁচে
Wednesday, 13 May 2015
Poem: আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও
আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে।
পেটটি ভরে পায় না খেতে, বুকের ক-খান হাড়,
সাক্ষী দিছে অনাহারে কদিন গেছে তার।
মিষ্টি তাহার মুখটি হতে হাসির প্রদীপ-রাশি
থাপড়েতে নিবিয়ে দেছে দারুণ অভাব আসি।
পরনে তার শতেক তালির শতেক ছেঁড়া বাস,
সোনালি তার গা বরণের করছে উপহাস।
ভোমর-কালো চোখ দুটিতে নাই কৌতুক-হাসি,
সেখান দিয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু রাশি রাশি।
বাঁশির মতো সুরটি গলায় ক্ষয় হল তাই কেঁদে,
হয় নি সুযোগ লয় যে সে-সুর গানের সুরে বেঁধে।
আসমানীদের বাড়ির ধারে পদ্ম-পুকুর ভরে
ব্যাঙের ছানা শ্যাওলা-পানা কিল্-বিল্-বিল করে।
ম্যালেরিয়ার মশক সেথা বিষ গুলিছে জলে,
সেই জলেতে রান্না-খাওয়া আসমানীদের চলে।
পেটটি তাহার দুলছে পিলেয়, নিতুই যে জ্বর তার,
বৈদ্য ডেকে ওষুধ করে পয়সা নাহি আর।
রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে।
পেটটি ভরে পায় না খেতে, বুকের ক-খান হাড়,
সাক্ষী দিছে অনাহারে কদিন গেছে তার।
মিষ্টি তাহার মুখটি হতে হাসির প্রদীপ-রাশি
থাপড়েতে নিবিয়ে দেছে দারুণ অভাব আসি।
পরনে তার শতেক তালির শতেক ছেঁড়া বাস,
সোনালি তার গা বরণের করছে উপহাস।
ভোমর-কালো চোখ দুটিতে নাই কৌতুক-হাসি,
সেখান দিয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু রাশি রাশি।
বাঁশির মতো সুরটি গলায় ক্ষয় হল তাই কেঁদে,
হয় নি সুযোগ লয় যে সে-সুর গানের সুরে বেঁধে।
আসমানীদের বাড়ির ধারে পদ্ম-পুকুর ভরে
ব্যাঙের ছানা শ্যাওলা-পানা কিল্-বিল্-বিল করে।
ম্যালেরিয়ার মশক সেথা বিষ গুলিছে জলে,
সেই জলেতে রান্না-খাওয়া আসমানীদের চলে।
পেটটি তাহার দুলছে পিলেয়, নিতুই যে জ্বর তার,
বৈদ্য ডেকে ওষুধ করে পয়সা নাহি আর।
Monday, 12 January 2015
Song: তোমায় দিলাম ভুবন ডাঙ্গার হাসি.
সোনার মেয়ে তোমায় দিলাম ভুবন ডাঙ্গার হাসি...
তোমায় দিলাম মধ্য দিনের টিনের চালের বৃষ্টি রাশি...
আরো দিলাম রোদ্রু ধোয়া সবুজ ছোয়া পাতার বাসি...
মুখে বললাম না বললাম না ভালোবাসি....
সোনার মেয়ে তোমায় দিলাম ভুবন ডাঙ্গার হাসি...
হারাবো হৃদয় টানে ভালোবাসার একটু মানে...
ইচ্ছে করছে দু জন মিলেই খুজি...
আবেগি মেঘের ভেতর পৃথিবীর সব আদর....
তুমি হবে আমার ভেবে দু চোখ উজি...
প্রজাপতি হৃদয়টা এ আমাকে নে এযে কি হল আমার কোথায়
আমি ভাসি
তোমাকেই তোমায় দিলাম ভুবন ডাঙ্গার হাসি
তোমায় দিলাম মধ্য দিনের টিনের চালের বৃষ্টি রাশি...
আরো দিলাম রোদ্রু ধোয়া সবুজ ছোয়া পাতার বাসি...
মুখে বললাম না বললাম না ভালোবাসি....
সোনার মেয়ে তোমায় দিলাম ভুবন ডাঙ্গার হাসি...
হারাবো হৃদয় টানে ভালোবাসার একটু মানে...
ইচ্ছে করছে দু জন মিলেই খুজি...
আবেগি মেঘের ভেতর পৃথিবীর সব আদর....
তুমি হবে আমার ভেবে দু চোখ উজি...
প্রজাপতি হৃদয়টা এ আমাকে নে এযে কি হল আমার কোথায়
আমি ভাসি
তোমাকেই তোমায় দিলাম ভুবন ডাঙ্গার হাসি
Thursday, 11 December 2014
Bangla Song Lyrics: তোমার ঐ মনটাকে (Tomar Oi Montake) - পার্থ বড়ুয়া
শিল্পীঃ পার্থ বড়ুয়া
কথাঃ সকাল
সুরঃ বাসু
--------------------------------
তোমার ঐ মনটাকে একটা
ধূলোমাখা পথ করে দাও, আমি পথিক হবো।
ভালবাসার কিছু পদধূলি।
তোমাকে সারাবেলা শুনিয়ে যাব, আমি পথিক হবো।।
সকালের সোনা সোনা রোদ
সেই পথের ধূলোয় এসে ছড়িয়ে যাবে।
আমার দু'চোখে বোনা বিবাগী স্বপ্নগুলো
তোমাকেই খুজে পাবে
ভালবাসার কিছু পদধূলি।
তোমাকে সারাবেলা শুনিয়ে যাব, আমি পথিক হবো।।
জোছনায় ভেজা ভেজা রাত
সেই পথের সীমানাতে জড়িয়ে যাবে।
আমার ক্লান্ত পায়ে মুখরা লগ্নগুলো
নীরবে মুখ লুকাবে
ভালবাসার কিছু পদধূলি।
তোমাকে সারাবেলা শুনিয়ে যাব, আমি পথিক হবো।।
কথাঃ সকাল
সুরঃ বাসু
--------------------------------
তোমার ঐ মনটাকে একটা
ধূলোমাখা পথ করে দাও, আমি পথিক হবো।
ভালবাসার কিছু পদধূলি।
তোমাকে সারাবেলা শুনিয়ে যাব, আমি পথিক হবো।।
সকালের সোনা সোনা রোদ
সেই পথের ধূলোয় এসে ছড়িয়ে যাবে।
আমার দু'চোখে বোনা বিবাগী স্বপ্নগুলো
তোমাকেই খুজে পাবে
ভালবাসার কিছু পদধূলি।
তোমাকে সারাবেলা শুনিয়ে যাব, আমি পথিক হবো।।
জোছনায় ভেজা ভেজা রাত
সেই পথের সীমানাতে জড়িয়ে যাবে।
আমার ক্লান্ত পায়ে মুখরা লগ্নগুলো
নীরবে মুখ লুকাবে
ভালবাসার কিছু পদধূলি।
তোমাকে সারাবেলা শুনিয়ে যাব, আমি পথিক হবো।।
Subscribe to:
Posts (Atom)